সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেনদরবার করতে ভারতে গেছে। ‘কলকাতার গণমাধ্যমের খবরে এটা পরিষ্কার শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে ভারত যাননি, তিস্তার পানির জন্য যাননি, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে যাননি।
আজ রোববার সকালে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ সব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কারণ শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন তাঁদের দুঃশাসনের জবাব দিতে মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে। তাঁর বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। গণতন্ত্র হত্যা করে, দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে বন্দুকের জোরে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারি অর্থ ব্যয় করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের কাছে আকুতি জানাতে সেখানে সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ট্রানজিটসহ ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়েছে তাঁর সরকার। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। তবে প্রতিদান হিসেবে ক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। এসব আমাদের কথা নয় সেদেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন ট্রানজিটসহ সব দিয়েছে তাঁর সরকার, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবর দিল্লির পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে এবার তাই ভারতের সহযোগিতা চাই।’
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে শেখ হাসিনা এখন তাঁর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছেন। তাঁকে অস্বাস্থ্যকর, জরাজীর্ণ, অবাসযোগ্য কারাকক্ষের মধ্যে আটকে রাখার পরও প্রধানমন্ত্রী এবার একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের মনোবাসনা পূরণে নিরাপদ বোধ করছেন না। তাই তাদের চিরাচরিত আশ্রয়স্থল ভারতের শরণাপন্ন হয়েছেন। বর্তমান সরকার আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এই উদ্দেশ্যে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে যেখানেই গেছেন সেখানেই ব্যর্থ হয়েছেন।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের হুকুমে সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ করে দিতে আইন করা হয়েছে সংবিধান লঙ্ঘন করে। এইচ টি ইমামের আহ্বানে তড়িঘড়ি করে এই বিধি সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন-ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা, কিন্তু সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান ইসির পুরো আচরণ এখন প্রশ্নবিদ্ধ।